শুধু তোমারি জন্য

জাগো আনন্দরূপে হে বন উদাসী
জাগো নবরূপে হে প্রেম পিয়াসী
রঙ্গিন তব ঊষার আভাসে বসন্ত বিদায়ী
ফিরে গেলো লাল আভা কি লজ্জায় মরি !!

এলো কোকিল তোমার ডাকে রঙ্গিন ঊষার মাঝে
এলো ময়ূর ময়ূরী সাথে তব খেলতে হোলি
যেন মেঘ বিজড়িত রঙ্গিন গোধূলি এলো পথ ভুলি
শ্যাম এলো মোর বাজায়ে বাঁশি খেলতে হোলি !!

ঝরা পাতায় ফেলি দীর্ঘশ্বাস চোখে জাগে স্বপন পিয়াস
ঝুম ঝুম ঝুম নূপুর শুনি ওই পিয়াসী ফাল্গুনে পথ পানে
দুনয়নে নেই ঘুম উদাসী রাতের ওই পথিক মেয়ের শুন
ভোরের আলো ফুটায় ফুল আঁখি মেলে এ কোন সকাল !!
                                                  ।। অরুণিমা ।।


শ্রান্ততান

তুমি দাঁড়ায়ে রয়েছো দ্বারে 
তাই তো পারিনি যেতে 
নিরব নিশীথে ।।

মিথ্যার আঁধারে জ্বালালে তুমি 
সত্যের ও প্রদীপ শিখা 
তাই তো বীণায় বাঁধা রইলো মোর 
মরমের শিশিরে প্রভাতের দীপশিখা ।।

বৈশাখী হাওয়ায় ঝরা মুকুল 
মরুর পথে হারায় যে কুল 
কত কথা কহে বিরহী শশী
নীরবে শুনিলে হে প্রিয় পিয়াসী ।।
মহাসাগরের ঢেউ করে গর্জন 

হেলা কত আনিবে হে স্বজন 
বুঝিলে না কি ব্যাথায় গোধূলী লগনে 
চেয়ে থাকে সূর্যমূখী গগন পানে ।।
                       অরুণিমা 



হৃদয়তান



ভৈরবী গায় ঐ প্রভাতে কে সে পাখী ,
শ্বেতবসনা তুমি কে হে উদাসিনী,

নীরব বীণা ঝংকারে তুলে করুণ সুর ,
ছন্দে ছন্দে দোলে মনে সে স্মৃতি মধুর।।

ভোরের শিশির প্রিয় গায় সে গান,
চাঁদের আলোয় সেদিন রচেছিলে যে তান।।

প্রভাতে তোমার সুরের নেশায় মজিবে যখন মন ,
রোদন হইয়া তোমার চোখে আসিব জানিও তখন ।।

পথের ধূলিতে দেখিবে প্রিয়,
দেখিবে চমকিয়া মেঘের ঝলকে,
দেখিবে প্রিয় দেখিবে আমায়
মিশিয়াছি তোমার রঙ্গের তুলিতে।।

                                      ।। অরুণিমা ।।


শুধু তোমারি জন্য



ত আশা রয়ে গেলো ঢাকা
নিরাশার বালুচরে
রয়ে গেলে তুমি রয়ে গেলাম আমি
বাঁধা
সময়ের বাহুডোরে ।।
বদ্ধ মনের আঁধার ঘরে
আলোর একটিও কিরণ যখন
পায়নি যখন একটিও ভাষা
রয়ে গেলে তুমি রয়ে গেলাম আমি
আর ব্যর্থতার নিরবতা।।
                   
                             ।। অরুণিমা ।।


                         


১লা বৈশাখ



নতুন বছরে নব কলেবরে
এসেছে বৈশাখ নববর্ষা নিয়ে
ঝরঝর ঝরে আজ আনন্দ ধারা
বৈশাখী উল্লাসে মন মত্ত মাতোয়ারা
।।
আনন্দে ঝরিছে আজ অঝোর ধারা
পরিয়া পুরাতন স্মৃতি নতুন রঙীন ওড়না ,
কাজল মেঘ পথে সূর্য ভাসায় ভেলা
বৈশাখী হাওয়ায় প্রাণে লাগলো দোলা ।।
                             ।।অরুণিমা ।।

প্রেমারতি



ক্ষণিকের পরিচয়ে সাথী মোর হলে,
জীবন মরণে তুমি চিরসাথী যে বলে
অভিমান আর অনুরাগে
বাঁধা এ মালা
ক্ষয় নাহি হবে ওগো প্রেমের এ ডালা
।।
রাত জাগা পাখী যে ফিরে আসে কুঞ্জে
মাগিয়া বিদায় তুমি এলে এ শ্রান্ত
সাঁঝে
চৈতীর চাঁদ যে ওগো ভাসায় আলোর ভেলা
সুরের ধারায় নেয়ে ওঠে
মেঘলা সকাল বেলা ।।
হিসেব বেহিসেবের মেল মেলেনি আজ ও
মনের বীণার ঝঙ্কারে পরশ তোমারি যে প্রিয়
প্রাণের মাঝে বাজে সদা তোমারি রাগিণী
প্রেমের কাননে হারায় মোর মায়ার হরিণী
।।
                       
                                        ।। অরুণিমা ।।


ছড়া




কেনারামের হুরুং ফুরুং
মিট্টিরামের গুরুং
ব্যাঙ নাচে বৃষ্টি ভিজে
টুনটুনি ও তাই ছুটে
।।
ছোট্টসোনা নাড়ু খাবে
বায়না ধরেছে দেখে
বৃষ্টি ভিজে দাদু তাই
আনতে গেছে তবে
।।

                            ।। অরুণিমা ।।



শুধু তোমারি জন্য

                                           ()



চোখের জলটি মুছিনি তুমি আসবে বলে
বরিষটির ধারায় ভিজিনি তুমি আসবে বলে
শ্রাবণের দোলায় দুলিনি তুমি দোলাবে বলে
    পরশ রজনীর লাগাইনি গো গায়
       তোমার সুগন্ধে ভাসব বলে !!
দীপহীন মোর দেউলে এসে
   জ্বালালে এ কি প্রেমের শিখা
মায়ার বাঁধনে জড়ালে মোরে
   লুটায়ে কতো গানের ডালা ...

আঁধার মিটায় আশার আলো
ওই বুঝি যে আমার শ্যাম এলো
বিজলি চমকে তৃষিত আকাশে
চাতক বসে রয় পিপাসিত চিতে
ওই যে শুনি তার চরণের ধ্বনি
তুমি আসবে তাই চেয়ে রয়
দুয়ারে মোর সাঁঝের প্রদীপখানি ।।
                                               ............অরুণিমা

শুধু তোমারি জন্য

                                                                           (৩)





মেঘলা আকাশ উতলা মন
   পথ চেয়ে রই অনুক্ষণ
না জানি কবে ফুরাবে এ পথ চাওয়া
   মিলাবে আমার সাথে সুর এ পূবালী হাওয়া......

রাগ অনুরাগে ছাওয়া কতো স্বপ্ন আশা
   পেয়েছে আজ ভালবাসা খুঁজে কতো নতুন আশা
তোমার ছুঁয়ায় লাগে হিমের পরশ অঙ্গে মোর
   বেধেছি বীণায় আজ কতো নতুন সুর

নীল যমুনার জলে আজ বইছে উজান  
   মুরলী ধ্বনি শুনি নাচে ময়ূর ময়ূরী
প্রথম প্রদীপ আজ জ্বালিয়েছি দুয়ারে মোর
   নিশীথের আঁধার কাটিয়ে এলো মোর প্রেমের ভোর !!!

...........................অরুণিমা


শুধু তোমারি জন্য

(২)




সে আছি আজ একা মনে
কতো স্মৃতি আজ ভিড়েছে এক্ষণে
তোমার পরশ জাগাত কি অনুভূতি
তোমার বিরহে আজ মরি আমি...
নয় এ শুধু কথার মেলা
নয় এ কেবলই মনের খেলা
দিলাম কতো অশ্রুজল তোমায় সঁপে
তবুও যে হেটে যাই এ পথ একা রাতে ...।।

মন এ নয় শুধু – এ যে পূজার থালা
রইলো তায় বেথার শতদলে গাঁথা অশ্রুমালা
আমার পরিচয়ের ঈষৎ এ আলাপ হতে
পরাবো তোমায় এ মালা মলিন দ্বীপালোকে  ...।।
             
                           ..............অরুণিমা

শুধু তোমারি জন্য

                                                                              ( ১)



বুঝিনি কেন আজো কি এই জীবন
আশার পূরণ নাকি শুধুই মরণ
আনন্দ হারায় কেন দুখের ভিড়ে
মন চলে যায় কোন স্মৃতির তীরে
কেন শুধুই চেয়ে থাকা আশায় আশায়
তোমার বিরহে আমায় অশ্রু যে ভাসায়
বাঁধতে গিয়ে কেবলই ভাঙ্গে শান্তির নীড়
মনেতে বিঁধে কোন যে আঁধারের তীর
ভেবে যাই যাবনা আর তোমার দিকে
তবুও বুক ভরে বিশ্বাস করি ভালবাসার এই
রাগ অনুরাগে ভরা রঙগুলো নয় ফিকে----- !!!

                           ...................অরুণিমা

আমাদের যে গোঁড়ায়ই গলদ !!





নেক দিন থেকেই শুনছি মেয়েরা বুঝি ঘরের বাইরে নিরাপদ নয় !! তাই মনে হল কিছু বলি । বাইরে দেখার আগে আমরা যদি একবার নিজের ঘরের মেয়েদের দিকে একবার তাকাই তাহলে নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারব আমাদের চোখের সামনেই ( যুগ , বছর , মাস নয় মাত্র দিনে একটিবার খেয়াল করি যদি ) আমাদের ঘরের মেয়েদেরকে আমরা নিজেরাই কত অন্যায় অবিচারের দিকে ঠেলে দেই ! জন্ম থেকে শুরু করে শেষ অবধি আমরা আমদের ঘরেই কত সংঘর্ষের মুখোমুখি হই!!! ইংরাজিতে একটা কথা আছে না " charity begins at home " ! তাহলে কি আমরা পারি এই ছোট্ট পরিসরে আমাদের দৈনিক দায়িত্বটুকু সামলাতে ? একবার ভেবে দেখুন ! কেবল মোমবাতি নিয়ে বাইরে লোক না দেখিয়ে আমরা যদি মনের প্রদীপ টাকে আলো করে একবার চোখ খুলে নিজের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো কত ছোট অথচ ক্ষমার অযোগ্য অন্যায় আমরা নিজেরাই করে বেড়াচ্ছি !! তাহলে কি আমরা চুপ করে থাকবো ? না । নিজের ঘরের মেয়েদের চোখের জলটাকে মিটিয়ে আমরা যদি এগোই তাহলে আমাদের প্রতিবাদী সুরটা মনে হয় আর ও তীব্রতর হবে !! আমাদের যে গোঁড়ায়ই গলদ !! গাছের জড়ই যদি ঘুণে ধরা হয় তো উপরের ডালপালা সুন্দর করে কি হবে? বাঁচাতে পারবেন সেই গাছটা ? বোধহয় না !!

যারা এই অন্যায় করেছে তাদের এই ভুল শিক্ষার জড়টা কোথায় একবার তা ভেবে দেখা উচিত আমাদের। তারা কি কখনো তাদের স্কুল এ এই ধরণের কিছু অন্যায় করেনি ? ওই গোঁড়ায় গলদ গুলাকে তাদের অভিভাবকদের কাছে কখনো কি স্কুল থেকে ওদের শিক্ষকরা শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন? যদি ওদের পরিবার ওদের ওই ছোটবেলার দোষগুলা এড়িয়ে গিয়ে থাকেন তাহলে ওদের ওই ধরণের ব্যবহারের বিরুদ্ধে কি কোনও শিক্ষক প্রতিবাদ করেছিলেন ? আমরা কি তা জানি? কাপড়ের ফুটো যদি ছোট থাকতে না সারানো যায় তাহলে পুরো কাপড়টা ছিঁড়ে যাওয়ার পর তাতে তালি লাগিয়ে লাভ কি? গুয়াহাটিতে একটা মেয়ের সাথে মাঝ রাস্তায় এতো লোকের সামনে যা ঘটলো তাতে কি ওইসময় সেখানে উপস্থিত লোকেদের ও সমান দোষ ছিলোনা ? তারা যদি তখন একটা মেয়েকে ওই শয়তানগুলোর হাত থেকে তখনই উদ্ধার করতে না পারলেও পরে যে ওই মানুষগুলাই ওর ছবি হাতে রাস্তায় লোকদেখানো প্রতিবাদ জানায়নি তা কি আমরা বলতে পারবো? এই প্রতিবাদের কি মূল্য আছে ? দামিনীর আগেও ওর মতোই কত দামিনী নীরবে শেষ হয়ে গেছে শুধু ন্যায়ের আশায় ! মেয়েদের কি রাস্তাঘাটে ওদেরই পাড়ার ছেলেরা রোজ অপমানিত করছেনা ? ওদের স্কুলে কি ওদের কোনও সহপাঠী বাজে কথা বলে আজ ও অপমানিত করছেনা ? কয়টা স্কুল ওই নিচু মানসিকতার ছাত্রদের শুধরাবার চেষ্টা করে ? আর কয়জন অভিভাবক ওদের সন্তানদের ওই নিচু মানসিকতাকে জড় থেকে নষ্ট করে ওকে ' প্রকৃত মানুষ ' করে তুলতে দৃঢ়তার সঙ্গে চেষ্টা করেছেন ? তাহলে বলুন এসবের সৃষ্টি কোথায় ? ওই শয়তানগুলো যারা মেয়েদেরকে কেবল ধর্ষণ করার মতো ভোগ্য বস্তু মনে করে তাদের এই মনোবৃত্তি কি ওই মুহূর্তেই সৃষ্টি হয়েছিলো ? আগে কি ওদের পরিবারের কেউ ওদেরকে এভাবে চলাফেরা করতে দেখেনি ? 

এরকম যে একটি ঘটনাই হয়েছে তা নয় । আজ ও আমাদের পাড়াতেও হয়তো চোখ খুলে দেখলে দেখতে পারবো এই ধরনের ঘৃণ্য মানসিকতার মানুষ ! একটা ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামি । আর বাকিটা সময় কি আমরা পারিনা নিজের হাতের নাগালের ভিতরে যেগুলো এই ধরনের ঘটনা ঘতে যাচ্ছে ওইটাকে তখনই নষ্ট করার ? এটাও তো দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ! প্রতিবাদের এটাও আর একটা রূপ যা আমরা ইচ্ছা করলে আমাদের ঘর থেকেই শুরু করতে পারি ! তাতে আমরা একভাবে দেশেরই উপকারের একটা মাধ্যম হতে পারবো নিজ নিজ পথে !তাই না ? এরকম অনেক লোক রয়েছেন যারা হয়তো রাস্তায় এসে প্রতিবাদ জানাতে পারছেন না অনেক কারণে ! কিন্তু তাহলে কি হাতে হাত ধরে বসে থাকবেন ? পারবেন না ওরা ওদের চোখের সামনে ( হয়তো ওদের নিজেদের ঘরেই ) যেসব অন্যায় ঘটে যাচ্ছে সেগুলো ঠিক করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে একটা বিবেকসম্পন্ন পদক্ষেপ নিতে ? ঘরের বাইরে গিয়ে যেমন আমরা নীরবতা ভেঙে প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেভাবে আমাদের ঘরেও তো আমরা ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি !! এইভাবে শুধু আমরা আমাদের ঘরের জন্য কেবল নয় দেশের জন্য ও অনেক অবদান রেখে যেতে পারি আমাদের দায়িত্বের এই ছোট্ট পরিসরেও ! এতে পুরো দেশ একসঙ্গে আমাদের হাতের মুঠোয় না আসুক প্রতিবাদের জন্য কিন্তু এই পথে চলে আমরাও তো পারি ছোট ছোট ক্ষেত্রেও আমাদের প্রতিবাদের সুরটাকে সজাগ করে তুলতে ! যেখান থেকে এইসব ঘৃণ্য মানসিকতার সৃষ্টি তার জড়টাকে নষ্ট করা একান্ত দরকার বলে আমার মনে হয় আর তা কেবল আইনের সাহায্যেই সম্ভব নয় । দরকার গোঁড়া থেকে মানুষের মনে মেয়েদের প্রতি সম্মানবোধ জাগিয়ে তোলা আর তা আমাদের নিজেদের ঘরের ভিতর থেকেই শুরু করা উচিত । ভুল- শুদ্ধের প্রথম শিক্ষা আমরা আমাদের জন্মদাতা মা বাবার কাছ থেকেই লাভ করে থাকি । তাই বলি গোঁড়াটা মজবুত হওয়া দরকার । নাহলে ভবিষ্যতে আর ও দামিনী সৃষ্টি হতে থাকবে আর আমরা অসহায় হয়েই দাড়িয়ে দেখতে থাকবো । তাই আমাদের সংবাদ মাধ্যমের আলোর পিছনেও একবার গিয়ে দেখা উচিত যেখানে প্রতিদিনই এরকম অনেক দামিনীরা অপমানিত হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে । 

প্রত্যেক সময়ই ঝড় আসার আগে একটা পূর্বাভাস দিয়েই থাকে । দরকার ওই পূর্বাভাসটাকে বুঝে গোড়াতেই ওইটাকে নষ্ট করে দেওয়া যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মতে আর কোনও দামিনী না সৃষ্টি হয় । দরকার ঘরে ও বাইরে দুটো ক্ষেত্রেই নিজের আত্মাকে জাগিয়ে তোলে অন্যায়কে সহ্য না করে এগিয়ে যাওয়ার । নাহলে এই ধরনের কুকর্ম কখনই থামবে না !! প্রতিবাদ কেবল রাস্তায়ই নয় প্রয়োজন প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে তা জ্বলে উঠার যাতে মেয়েরা ঘরে ও বাইরে দুদিকেই সুরক্ষিত থাকতে পারে । একটা বাড়ি শক্ত করে বানাতে গেলে তার ভিতটা মজবুত হওয়া দরকার ! কিন্তু তা বলে কি ঘরের ছাদকে মজবুত করবো না ? নিশ্চয়ই করবো । তার জন্যই আইনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকেও দরকার একটা দিনের জন্য হলেও সমালোচনার মুখে ঠেলে দেওয়ার !!! একটিবার নিজের ঘরের মা, মেয়ে , স্ত্রী , বৌ কে জিজ্ঞেস করে দেখুন ওরা কি সত্যিই সত্যিকারের সম্মান লাভ করছে আপনার নিজেরই ঘরে ????? ভেবে দেখুন ।। নাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে হয়তো !! ২০১২ তে আমাদের বিশ্ব যখন ধ্বংস হয়ে যায়নি তাহলে আর একটি নুতন যুগের সৃষ্টির সাক্ষী হয়ে থাকি আমরা ! বা এভাবেও বলতে পারি একটা নুতন যুগ --একটা নুতন ভারতবর্ষই তাহলে সৃষ্টি করা যাক ।।